পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা কি কি

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা কি? পেয়ারা খেলে আমাদের শরীরেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হার্টের রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ কমে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে, মানুষের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে 


পেয়ারা খেলে ত্বক মুসলিন থাকেন, চোখের জন্য অনেক ভালো পেয়ারাতে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়।

পোস্ট সূচিপত্র :পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা কি কি 

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা কি কি 

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা হলো পেয়ারাতে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যালসিয়াম ভরপুর রয়েছে পেয়ারায়৷ পেয়ারা খেলে অ্যানিয়াম প্রতিরোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন, হজম শক্তি বৃদ্ধি করেন, এবং মস্তিষ্ক সতেজ রাখেন ইত্যাদি অনেক উপকার রয়েছে৷ আমরা যদি প্রতিনিয়ত একটি করে পেয়ারা খেযতে পারি তাহলে আমাদের অনেক উপকারে আসবেন, যেমন আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে৷ চিকিৎসকরা বলেন যারা প্রতিনিয়ত পিয়ারা খেয়ে থাকেন দাঁত ও মাড়ি শক্ত থাকে এবং রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে৷ তাই পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা অনেক৷ 

পেয়ারা: সহজলভ্য অথচ পুষ্টিতে ভরপুর ফল 

পেয়ারা হলো এমন এক ধরনের ফল, যা গ্রাম শহরের সবাই উপভোগ করে এবং গ্রাম শহরে ওভোই জায়গায় পাওয়া যায় available। অথচ পিয়ারার দাম কম, এবং গুনে ভরপুর। একে স্বাভাবিক ফল ভাবলেন ভুল, পিয়ারা হলো পোষ্টের দিক থেকে একে বারে অসাধারণ।এতে রয়েছে মিনারেল, ভিটামিন সি,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, পর্যাপ্ত পরিমাণে আছেন এ পিয়ারাতে। পিয়ারাতে অনেক ধরনের পুষ্টি আছেন যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখেন অনেক সাহায্য করে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যে রাখতে সাহায্য করে৷ এবং ভিটামিন সি এর কারণে আমাদের শরীর সমস্ত জীবাণু ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে৷ আমরা যদি নিয়মিত ভাব পেয়ারা খায় তাহলে ঠান্ডা, জ্বর, কিংবা আমাদের শরীরের ছোটখাটো সব ধরনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তাই আমাদের সবাইকে প্রতিনিয়ত পেয়ারা খেতে হবে,বিশেষ করে শিশু বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য এটি চমৎকার একটি প্রতিরোধী খাবার৷ আমরা যদি প্রতিনিয়ত পেয়ারা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে৷ 

হজম শক্তি উন্নত করে 

পিয়ার আঁশ বা ফাইবার আমাদের পেটের মহাজন শক্তি প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে৷ যারা প্রতিনিয়ত কষ্টকাঠিন্যে ভোগেন তাদের জন্য হবে পেয়ারা এক অসাধারণ ওষুধ, কারণ প্রিয়া রায় আঁশ বা ফাইবার অনেক পরিমাণে থাকে যা আমাদের কষ্টকাঠিন্যে করতে সাহায্য করে, তাই তাদের জন্য পেয়ারা একটি প্রাকৃতিক সমাধান৷ এটি শুধু আমাদের পেট পরিস্কারই না, বরং আমাদের দীর্ঘমেয়াদে অন্ত্রকে সুস্থ রাখে৷ তাই আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন একটি করে হলেও পেয়ারা খাওয়ার  যাতে আমাদের কষ্ট কষ্টকাঠিন্যে ভুগতে না হয়৷ 

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী 

সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদেরকে মিষ্টি ফল মূল এরিয়ে চলতে হয়৷  কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি ফল মন খাওয়া নিষেধ৷ কিন্তু পেয়ারা হলো এর  ব্যতিক্রম৷ কারন পেয়ারাতে শর্করা খুব বেশি নেই,  বরং পেয়ারাতে রয়েছে সাইবার ও কম গ্লাইসমিক সূচক৷ যার ফলে মানুষের রক্তের শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না, এর ফলে পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের কোন প্রকার অসুবিধা হয় না বরং সুবিধা হয়, কারণ পেয়ারাতে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারিতা৷ তাই ডায়াবেটিস রোগী নিয়ম মেনে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা নিরাপদ৷

হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় পেয়ারা 

পেয়ারার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মানুষের শরীরের হৃদপিণ্ডের ক্ষতি প্রতিরোধ করে৷ তাই যাদের হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জদি নিয়ম মেনে পিয়ারে খেতে থাকেন তাহলে তারা উপকার পাবে৷ তাই আমাদেরকে নিয়ম মেনে পিয়ারা খেতে হবে যাতে আমাদের  হৃদপিণ্ডের সুরক্ষা থাকে এবং আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে তার জন্য৷ 

ত্বক সুস্থ রাখেন 

সুন্দর চেহারা আমরা কে না চাই, তাই আমাদের সুন্দর চেহারার জন্য পেয়ারা হতে পারে একটি প্রাকৃতিক সমাধান৷ পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বকে সুন্দর রাখে কারণ ভিটামিন সি তে ত্বকের কোলাজেন উপাদান বৃদ্ধি করে৷


 ফলে আমাদের ত্বক টানটান হয় এবং বয়স্কদের মতন মুখের টানটান দাগ সহজে পড়ে না৷ এছাড়াও পেয়ারাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানুষের শরীরের দাগ-ছোপ কমাতে আমাদের অনেক সাহায্য করে৷ আর আমাদেরকে প্রতিনিয়ত পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে করে আমাদের ত্বক সুস্থ থাকে এবং শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে৷ 

চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় 

আমাদের যাদের চোখের দৃষ্টিকোম তাদের জন্য পেয়ারা হল একটি প্রাকৃতিক সমাধান ৷ কারণ পেয়ারা তএ রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াই৷ এবং যারা রাত কাটাতে ভোগেন তাদের জন্য পিয়ার একটি অপরিহার্য, কারণ ভিটামিন এ তে আমাদের রাতকানা চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং অন্যান্য যাবতীয় চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়৷ তাই যারা রাতকানা ভোগেন তাদের জন্য পেয়ারা একটি প্রাকৃতিক সমাধান৷ 

ওজন নিয়ন্ত্রণ সহায়িক 

আমরা যারা মোটা এবং যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য হলো পিয়ার একটি আদর্শ ফল৷ কারণ পেয়ারাতে ক্যালরির পরিমাণ কম হয়ে থাকলেও আকাশ পরিমাণ বেশি৷ ফলে খাওয়ার পর আমাদের সহজে ক্ষুধা পায় না এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা টা আমারদের কমে যায়৷ তাই আমরা যারা ওজন কমাতে চাই তাদের জন্য পেয়ারা হল একটি প্রাকৃতিক সমাধান৷ তাই আমাদেরকে নিয়মিত পেয়ারা খেতে হবে তাহলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে৷ 

দাঁত ও মাড়ির যত্নে পেয়ারা 

যারা দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে চান তাদের জন্য পেয়ারা একটি প্রাকৃতিক সমাধান৷ কারণ অনেক প্রাচীন চিকিৎসা শক্রে পেয়ারার পাতার ব্যবহার রয়েছে দাঁতের যত্নে৷ পেয়ারার পাতা দাঁতের যাবতীয় ব্যথা কমাতে সাহায্য করেন এবং দাঁত ও মাড়ি শক্ত রাখতে সাহায্য করে৷ শুধু ফল খাওয়াই নাই,পেয়ারার পাতাতেও রয়েছে আনেক উপকারিতা এবংপেয়ারার পাতায় স্বাস্থ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ এবং যারা পেয়ারার পাতাদিয়ে দাঁত ঘসে তাদের দাঁত অনেক শক্ত থাকে৷ তাই আমাদেরকে প্রতিদিন নিয়ম করে পেয়ারার পাতা দিয়ে দাঁত মাজতে হবে,তাহলে আমাদের দাঁত অনেক শক্ত রাখতে৷

ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য করে 

পেয়ারায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান আমাদের শরীরের সমস্ত ক্ষতিকর ফ্রি- রেডিকেল কমায়৷ ফ্রি- রেডিকেল যদি দীর্ঘদিন জমে থাকে তাহলে আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকির পরিমাণ বাড়াই৷তাই গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত পেয়ারা খায় তাদের কিছু পরিমাণ হলেও ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে৷ তাই আমরা যদি প্রতিদিন নিয়ম করে পেয়ারা খাই তাহলে আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক পরিমাণ কমে যাবে৷ 

মস্তিষ্ক সতেজ রাখা 

পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি3 যা হলো (নােয়াসিন) ও বি6 যা হলো (পাইরিডিক্রিন) রয়েছে, যা আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ু কার্যক্রমের সক্রিয় অনেক রাতে৷ এর ফলে আমাদের অনেক মনোযোগ বাড়ে,এবং স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হয় এবং আমাদের মানসিক ক্লান্তি অনেক কমে যায়৷ 

গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী 

বিশেষ করে যারা গর্ভবতী আছে তাদের জন্য পেয়ারার একটি অসাধারণ ফল৷ কারণ পেয়ারায় আছে ফোলেট, যার কারনে গর্ভস্থ শিশুদের সঠিক বিকাশে সহায়ক করে৷ গর্ভবতী মা যদি পেয়ারা খাই তাহলে শিশুদের সঠিক বিকাশ ঘটে৷ গর্ভবতী মা যদি নিয়মিত পেয়ারা খায় তাহলে ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতি গর্ভবতী মা পুরোন করতে পারেন৷ কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে না হলে গর্ভাবস্থায় শিশুদের ক্ষতি হতে পারে৷ তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ 

মানসিক চাপ কমায় 

পেয়ারা খেলে আমাদের মানসিক চাপ কিছুটা পরিমাণ কমে যায়৷ কারণ পিয়ারাতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা শরীরকে শিথিল করে এবং স্নায়ুর ওপর ইতিবাচক প্রভাব কিছু পরিমাণ ফেলে৷ যারা প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে চাপে এবং ডিপ্রেশনের মধ্যে থাকেন তাদের জন্য হতে পারে পিয়ারা এক ধরনের প্রাকৃতিক রিল্যাক্রেশন ফুড৷  তাই ডিপ্রেশন ও মানসিক চাপ থেকে বের হওয়ার পেয়ারা হতে পারে একটি প্রাকৃতিক সমাধান৷ 

চুলের সৌন্দর্য অবদান রাখেন 

যাদের প্রতিনিয়ত চুল পড়তে থাকে তাদের জন্য হতে পারে পেয়ারা একটু সমাধান৷ কারণ পেয়ারা তো রয়েছে ভিটামিন সি, যা আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল ঝরে পড়া থেকে সাহায্য করে৷ এবং পেয়ারার পাতাতেও রয়েছে অনেক ভিটামিন, যা আমাদের চুল ঝরে পড়া থেকে সাহায্য করে৷ পেয়ারার পাতা দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক আমরা ব্যবহার করলে চুল আরো মজবুত এবং স্থায়ী হয় ৷ তাই আমরা বলতে পারি পেয়ারা যেরকম উপকারিতা পেয়ারার পাতায় অনেক উপকারিতা৷ 

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে 

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে পেয়ারা অপরিহার্জ৷কারণ পেয়ারাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন, আর আয়রন আমাদের শরীরের রক্ত তৈরি করতে অনেক সাহায্য করে৷ এবং যা আমাদের শরীরের  হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে থাকেন৷ ফলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে এটি অনেক ভূমিকা রাখে৷ তাই আমাদেরকে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত পেয়ারা খেতে হবে৷ তাহলে আমাদের রক্ত বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে৷ 

সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের রোগ  প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ এবং পেয়ার রয়েছেন ব্যাকটেরিয়া - বিরোধী গুণ যা আমাদের শরীরকে নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করেন৷ তাই প্রাচীনকালের চিকিৎসকরা পেয়ারার পাতা এবং পেয়ারা চিকিৎসায় ব্যবহার করে থাকতো৷ তাই আমরা যদি প্রতিনিয়ত পিয়ারার পাতা এবং পিয়ারা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রক্তবৃদ্ধির ইত্যাদি অনেক কাজে আসবে৷ তাই আমাদের প্রত্যেকদিন চেষ্টা করতে হবে একটি করে হল পিয়ারার পাতা এবং একটি করে পেয়ারা খাওয়া৷ 

সর্দি ও কাশিতে উপকারী 

পেয়ারাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি যা আমাদের হাত, পা ফাটা, ঠোঁট ফাটা, ইত্যাদিতে কমাতে অনেক সাহায্য করে৷ পেয়ারার সেই ঘাট্টি পূরণ করে শরীর সুস্থ রাখে৷ এবং সর্দি কাশি হয় সেখন আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয়, তাই ভিটামিন সি ঘাটতি পূরণ করার জন্য পিয়ারা একটি অপরিহার্য৷ 

হড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে 

পেয়ারাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান,যা আমাদের হাড় শক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে৷ পেয়ারাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং খনিজ উপাদান যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক৷ আমরা যদি প্রতিনিয়ত পিয়ারা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের আহারে স্বাস্থ্যরক্ষা থাকবে, আয় আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন একটি করে হলো পিয়ারা খাওয়ার৷ 

পেয়ারা সহজলভ্য এবং ঝামেলাহ খাবার 

অবশেষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল পেয়ারার এটি খেতে কোন প্রকার ঝামেলা নেই৷ শুধু গাছ থেকে পেড়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে খাওয়া যায়৷ এতে কোন প্রকার অতিরিক্ত ঝামেলা নেই এবং অতিরক্ত কোন খরচ নেই, এবং অতিরিক্ত কোন সময় নষ্ট নেই, অথচ এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং  ক্যালসিয়াম ভরপুর৷ 

পার্সোনাল মতামত 

পেয়ারা খাওযার উপকারিতা কি? পেয়ারাতে রয়েছে অনেক পুষ্টি যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার আরো অনেক ধরনের উপকার যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য রাখতে সাহায্য করে৷ পেয়ারা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় কারণ পেয়ারাতে রয়েছে ফাইবার বা আঁস যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে৷ এবং পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের চুল শক্ত করে এবং ঝরে পড়া থেকে সাহায্য করে৷ এবং পেয়ারাতে রয়েছে ফোলেট যা গর্ভাবস্থায় শিশুদের অনেক উপকারে আসে৷ নিয়ম মেনে যদি গর্ভবতী মা পেয়ারা খায় তাহলে গর্ভবতী মায়ের ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতি পূরণ করে৷ এবং পেয়ারা খেলে মানসিক চাপ এবং ডিপ্রেশন থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷ এবং সর্দি-কাশিতে অনেক উপকারে আসে, যেমন - পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ক্ষতস্থান পূরণ করতে অনেক সাহায্য করে৷ শীতকালে যাদের পা ফাটে, ঠোট ফাটে,হাত পায়ে চামড়া ওঠেন ইত্যাদি তাদের জন্য পেয়ার একটি সমাধান৷ কারণ পেয়ারাতে রয়েছেন ভিটামিন সি আর ভিটামিন সি হাত পা ফাটা, ঠোঁট ফাটা থেকে বাচাই,আয় আমাদেরকে পেয়ারা খেতে হবে৷ এবং যাদের স্মৃতিশক্তি কম তাদের জন্য পিয়ার একটি প্রাকৃতিক সমাধান, কারণ পেয়ারা খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায় তাই যাদের স্মৃতিশক্তি কম তারা পেয়ারা খেতে পারেন৷ এবং যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না তাদের জন্য পেয়ারা একটি আদর্শ ফল৷ এতে ক্যালসিয়াম খুবই কম আছে কিন্তু আঁশের পরিমাণ অনেকে বেশি, তাই পেয়ারা খেলে অতি শীঘ্রই ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে৷ এবং পেয়ারা খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়, কারন এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সাইড এর উপাদান যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি-রেডিকেল কমাই৷ তাই ক্যান্সার রোগীদের জন্য পেয়ারা হতে পারে একটি আদর্শ ফল৷ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা হলো এই এই৷ 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url